ঢাকা: এক নারীর সঙ্গে ভিডিও কেলেঙ্কারির ঘটনায় জামালপুরের ওএসডি হওয়া জেলা প্রশাসক (ডিসি) আহমেদ কবীরকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (শৃঙ্খলা ও তদন্ত অনুবিভাগ) মো. মনির উদ্দিন শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বাংলানিউজকে জানান, ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮’ অনুযায়ী আহমেদ কবীরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গত বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
তিনি বলেন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আহমেদ কবীরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়ে গেছে। এরপর বিধি অনুযায়ী অন্যান্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত মাসে ফেসবুকে আপলোড করা একটি ভিডিওতে জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীরের খাস কামরায় যে নারীকে দেখা যায় তিনি ওই অফিসের কর্মচারী বলে স্থানীয়রা শনাক্ত করেছেন।
এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টির পর জেলা প্রশাসককে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ওএসডি করা হয়।
এরপর গত ২৫ আগস্ট মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম-সচিব (জেলা ও মাঠ প্রশাসন অধিশাখা) মুশফিকুর রহমানকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। পরে ১০ দিন করে দুই দফায় কমিটির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। ২২ সেপ্টেম্বর তদন্ত কমিটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।
তদন্ত কমিটি জামালপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে।
কমিটিকে প্রকাশিত ভিডিওটির যথার্থতা যাচাই করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছিল। এছাড়া প্রয়োজনে সরেজমিন পরিদর্শন এবং ভিডিওটির যথার্থতা যাচাইয়ের বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে কমিটিকে প্রতিবেদনে সুষ্পষ্ট মতামত দিতে বলা হয়েছিল।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারের একজন প্রতিনিধি, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) একজন প্রতিনিধি কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন। সদস্যরা কেউই উপ-সচিব পদমর্যাদার নিচে নন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন শৃঙ্খলা অধিশাখার উপ-সচিব কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তবে প্রতিবেদনে কী উঠে এসেছে সে বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি কেউ।